Thursday, December 13, 2012

আমি অভিশাপ দিচ্ছি (শামসুর রাহমান)

না আমি আসিনি
ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রাচীন পাতা ফুঁড়ে,
দুর্বাশাও নই,
তবু আজ এখানে দাঁড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে
অভিশাপ দিচ্ছি।
আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক
কৃষ্ণপক্ষ দিয়েছিলো সেঁটে
মগজের কোষে কোষে যারা
পুঁতেছিল আমাদেরই আপন জনেরই লাশ
দগ্ধ, রক্তাপ্লুত
যারা গণহত্যা করেছে
শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে
আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক পশু
সেই সব পশুদের।


ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের
সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে
নিমেষে ঝাঁ ঝাঁ বুলেটের বৃষ্টি
ঝরালেই সব চুকেবুকে যাবে তা আমি মানি না।
হত্যাকে উৎসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে
ক্যাম্পাসে বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভৎস গন্ধ
দিয়েছে ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু
করি না কামনা।


আমাকে করেছে বাধ্য যারা
আমার জনক জননীর রক্তে পা ডুবিয়ে দ্রুত
সিঁড়ি ভেঙ্গে যেতে
ভাসতে নদীতে আর বনেবাদাড়ে শয্যা পেতে নিতে,
অভিশাপ দিচ্ছি, আমি সেইসব দজ্জালদের।
অভিশাপ দিচ্ছি ওরা চিরদিন বিশীর্ণ গলায়
নিয়ত বেড়াক বয়ে গলিত নাছোড় মৃতদেহ,
অভিশাপ দিচ্ছি

প্রত্যহ দিনের শেষে ওরা
হাঁটু মুড়ে এক টুকরো শুকনো রুটি চাইবে ব্যাকুল
কিন্তু রুটি প্রসারিত থাবা থেকে রইবে
দশ হাত দূরে সর্বদাই।


অভিশাপ দিচ্ছি
ওদের তৃষ্ণায় পানপাত্র প্রতিবার
কানায় কানায় রক্তে উঠবে ভরে, যে রক্ত বাংলায়
বইয়ে দিয়েছে ওরা হিংস্র
জোয়ারের মত।
অভিশাপ দিচ্ছি
স্নেহের কাঙ্গাল হয়ে ওরা
ঘুরবে ক্ষ্যাপার মতো এপাড়া ওপাড়া,
নিজেরি সন্তান
প্রখর ফিরিয়ে নেবে মুখ, পারবে না
চিনতে কখনো;


অভিশাপ দিচ্ছি এতোটুকু আশ্রয়ের জন্য, বিশ্রামের
কাছে আত্মসমর্পণের জন্যে
দ্বারে দ্বারে ঘুরবে ওরা। প্রেতায়িত
সেই সব মুখের উপর
দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে পৃথিবীর প্রতিটি কপাট,
অভিশাপ দিচ্ছি।
অভিশাপ দিচ্ছি,
অভিশাপ দিচ্ছি...

***********************
ঈষৎ সংক্ষেপিত, কবি শামসুর রাহমানের কবিতা সংগ্রহ থেকে নেওয়া
---------------------------------------


শেষ হলো ফেইসবুকের পলিসি পরিবর্তনের ভোট

টানা এক সপ্তাহ ভোটগ্রহণের পর শেষ হয়েছে ফেইসবুকের পলিসি পরিবর্তন নিয়ে উন্মুক্ত ভোট। ভবিষ্যতে ফেইসবুক সংশ্লিষ্ট কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পাবলিক ভোটিং সুবিধা থাকবে কিনা এবং ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে ডেটা শেয়ার করা হলে তা কিভাবে করা হবে, এরকম একাধিক নীতি নির্ধারণের জন্য আয়োজন করা হয়েছিলো উন্মুক্ত ভোটের। খবর সিএনএন-এর।

ফেইসবুকে ওপেন ভোটটি হোস্ট করে একটি থার্ড-পার্টি ওয়েব ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান। ভোটিং থেকে নিশ্চিন্তÍ কোনো সিদ্ধান্তে আসতে কম করে হলেও ৩০ শতাংশ ফেইসবুক ব্যাবহারকারীর এতে অংশ নিতে হবে। ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, ১শ’ কোটিরও বেশি অ্যাকটিভ ইউজার রয়েছে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটটির। সুতরাং, কম করে হলেও ৩০ কোটি ব্যবহারকারীর ভোট দিতে হবে।

তবে ৩০ শতাংশের স্থানে ভোটে অংশ নেন মাত্র দশমিক ২ শতাংশ ব্যবহারকারী। ফেইসবুক ভাইস প্রেসিডেন্ট এলিয়ট শ্রেজ এ ব্যাপারে জানান, ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়লে ভোটের ফলাফল পরামর্শমূলক বলে বিবেচনা করা হবে।

তবে ভোটে অংশ নেয়া ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫২ জন ব্যবহারকারীর মধ্যে ৮৮ শতাংশ ফেইসবুকের বর্তমান পলিসিগুলো অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ভোট দেন।

নিজেদের পলিসিগুলোর মধ্যে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ যে পরিবর্তনগুলো আনতে চাইছে তার মধ্যে রয়েছে, ডেটা ইউজ পলিসি এবং স্টেটমেন্ট অফ রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিজ। এ ছাড়াও ২০০৯ সালে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা এবং যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চালু করা পাবলিক ভোটিং সিস্টেমটিও বাদ দিতে চাইছে ফেইসবুক।

ভোটের ফলাফল প্রকাশ করবে তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটি। তবে ২৯ কোটি ব্যবহারকারীর ভোট যদি কোনো অলৌকিক উপায়ে হাজির না হয় তবে ভোটের ফলাফল অনেকটাই পরিষ্কার।



(সুত্রঃ বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ডিসেম্বর ১২/১২)


আসছে ফেসবুক ফোন 'বাফি'

সোশাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট ‘ফেসবুক’ নিজস্ব মোবাইল ফোন তৈরি করছে বলে আগেই গুজব রটেছিলো। কিন্তু ফেসবুক সে গুজব পাত্তা না দিলেও তার গোপনে মোবাইল ফোন তৈরির তথ্য ফাঁস করেছে অল থিংস ডিজিটাল সাইটে। ফাঁস হওয়া তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ‘বাফি’ কোড নাম ব্যবহার করে মোবাইল ফোন তৈরি করছে। খবর অল থিংস ডিজিটাল-এর। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের হ্যান্ডসেট তৈরি করতে তাইওয়ানের বিখ্যাত মোবাইল যন্ত্রাংশ নির্মাতা এইচটিসি’র সঙ্গে কাজ করছে। জানা গেছে, ফেসবুকের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ব্রেট টেলর এ ফোন তৈরির দায়িত্বে আছেন।
‘বাফি’ স্মার্টফোনটিতে গুগল অ্যান্ড্রয়েডের সাম্প্রতিক সংস্করণ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ ব্যবহার করা হতে পারে। এইচটিএমএল৫ অ্যাপ্লিকেশন আকারে ফেসবুক এ মোবাইলে যুক্ত করা হতে পারে। এ ছাড়াও এতে ফেসবুক-এর জন্য আলাদা বাটনও থাকবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ‘চাচা’ এবং ‘সালসা’ নামে ফেসবুকের বিশেষ বাটনযুক্ত দুটি স্মার্টফোন তৈরি করেছিলো এইচটিসি।

আগামী বছরই ‘বাফি’ বাজারে আনতে পারে ফেসবুক।

এর আগে মোবাইল তৈরির গুজব উড়িয়ে দিলেও এখনো ফাঁস হওয়া তথ্য বিষয়ে মুখ খোলেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এদিকে, প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেসবুক মোবাইল বাজারে এলে অ্যাপল, গুগল, নকিয়াসহ বিভিন্ন স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করে তবেই টিকে থাকতে হবে।
http://www.bbc.co.uk/news/technology-18234004
http://tech.bdnews24.com/


ফ্রি সিকিউরিটি সফটওয়্যারের সম্ভার

কম্পিউটার চালাতে গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা হচ্ছে অ্যান্টিভাইরাস সক্রিয় আছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া। একটু সতর্কতার অভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নষ্ট হয়ে যেতে পারে ক্ষতিকর প্রোগ্রামের মাধ্যমে। ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সময় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে সিকিউরিটি সফটওয়্যার না থাকলে এক মিনিটের ব্রাউজিংয়েও ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে আপনার পিসিকে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ম্যাক কম্পিউটারকে ভাইরাসমুক্ত অপারেটিং সিস্টেম বলা হলেও তা ম্যালওয়্যারের ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম নয়। টেকনোলজি ওয়েবসাইট কমান্ডো ডটকম-এর সিকিউরিটি সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হলো।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারে ট্রোজান ভাইরাস আক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। এটা বেশ কার্যকর। তাছাড়া কম্পিউটারের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভাইরাসের দামও বেশি নয়।

ইন্টারনেটে লাখো ধরনের ম্যালওয়্যার রয়েছে। ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান, ডায়ালার ছাড়াও বিভিন্ন নামে ম্যালওয়্যার ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে। অ্যান্টিভাইরাস এ ধরণের ম্যালওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে পারে। এতে ইন্টারনেট ব্যবহারে ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

শুধু একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। অ্যান্টিভাইরাস অনেকগুলো ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ না। তবে যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করছেন, সেটা আপডেট রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় মাঝেমধ্যে এটা আপডেট রাখা কম্পিউটারের জন্যই নিরাপদ। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের কয়েকটি ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস হচ্ছে-
এভিজি অ্যান্টিভাইরাস
এভাস্ট
এভিরা অ্যান্টিভাইরাস পার্সোনাল
মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনসিয়ালস।

ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য কয়েকটি ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো হচ্ছে-
সপোস অ্যান্টিভাইরাস ফর ম্যাক হোম এডিশন
এভিরা অ্যান্টিভার পার্সোনাল।

ফায়ারওয়াল
হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে আপনার কম্পিউটারকে নিরাপদ রাখবে ফায়ারওয়াল। অনলাইনে থাকাকালীন আপনার কম্পিউটারের ট্রাফিক চেক করবে সফটওয়্যারটি। তাই বলে একসঙ্গে একাধিক ফায়ারওয়াল ব্যবহার করা ঠিক নয়। তাহলে ফায়ারওয়াল কাজ করবে না।
উইন্ডোজ ও অ্যাপল-দুই অপারেটিং সিস্টেমেই রয়েছে বিল্টইন ফায়ারওয়াল। এছাড়া থার্ড পার্টি ফায়ারওয়্যালের মধ্যে রয়েছে-
জোন অ্যালার্ম
আউটপোস্ট ফায়ারওয়াল।

অ্যান্টি স্পাইওয়্যার
স্পাইওয়্যার এবং অ্যাডওয়্যার কম্পিউটার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে বড় হুমকি। এ দু’টি প্রোগ্রাম কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। ডেটা সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে অ্যান্টি স্পাইওয়্যার। যেমন-
এড-অ্যাওয়ার
স্পাইবুট সার্চ এন্ড ডেস্ট্রয়
স্পাইওয়্যার ব্লাস্টার ইত্যাদি।

অ্যান্টি ম্যালওয়ার
কম্পিউটিংয়ে কোনো সিস্টেম ব্যবহার ম্যালওয়্যার থেকে নিরাপদ নয়। এ প্রোগ্রামগুলো অধিকাংশই ক্ষতিকর প্রোগ্রাম মুছে ফেলতে পারবে। এজন্য ব্যবহার করা যেতে পারে-
ম্যালওয়্যারবাইটস
উইন্ডোজ ডিফেন্ডার অফলাইন।

এ সফটওয়্যারগুলো ডাউনলোডের জন্য অবশ্যই নির্ভরযোগ্য সাইটের সাহায্য নিতে হবে। ডাউনলোড ডটকম-এধরনের একটি ভাইরাসমুক্ত, নির্ভরযোগ্য সাইট। এছাড়া প্রতিটি সফটওয়্যারই তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা সম্ভব।

(সুত্রঃ বিডি নিউজ২৪ ডটকম)


বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সুরসম্রাট পণ্ডিত রবিশঙ্কর আর নেই !

Pandit Ravi Shankar
Born: April 7, 1920, Varanasi
Died: December 11, 2012, San Diego
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অকৃত্রিম বন্ধু ও উপমহাদেশের সুরসম্রাট পণ্ডিত রবিশঙ্কর আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানডিয়াগো শহরের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। আজ বুধবার ‘দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’র অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মৃত্যুকালে রবিশঙ্করের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। সেতার-সুরের এই মহান স্রষ্টা গত এক সপ্তাহ চিকিত্সাধীন ছিলেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
প্রায় তিন দশক বহির্বিশ্বে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন রবিশঙ্কর।
১৯২০ সালে ভারতের বেনারসে জন্মেছিলেন রবীন্দ্র শঙ্কর চৌধুরী; যিনি ‘রবিশঙ্কর’ নামেই বিশ্বে সুপরিচিত। শৈশবে ভাই উদয় শঙ্করের নাচের দলে কাজ করেছেন। ১৯৩৮ সালে নাচ ছেড়ে দিয়ে সংগীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁর কাছে সেতার শেখা শুরু করেন। ১৯৪৪ সালে সংগীতপরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত অল ইন্ডিয়া রেডিওর সংগীতপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সত্যজিত্ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ (১৯৫৫), ‘অপরাজিত’ (১৯৫৬) এবং ‘অপুর সংসার’ (১৯৫৯) ছবির সংগীতপরিচালনা করে ব্যাপক প্রশংসিত হন রবিশঙ্কর।
১৯৫৬ সাল থেকে বেশ কটি সফরের মাধ্যমে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত জনপ্রিয় করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এই গুণী শিল্পী। ষাটের দশকে তিনি কয়েকটি দেশে শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এসব কাজ করতে গিয়ে বিটলস ব্যান্ডের জর্জ হ্যারিসন ও প্রখ্যাত মার্কিন বেহালাবাদক মেনুহিনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেন।
This archive photo shows two icons of world music
Indian sitar maestro Pandit Ravi Shankar and American singer-guitarist George Harrison
 who together performed at the “Concert for Bangladesh”
in Madison Square Garden in New York on August 1, 1971

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই সেতারশিল্পী। বিটলস ব্যান্ডের সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসনকে সঙ্গে নিয়ে রবিশঙ্কর আয়োজন করেছিলেন সাড়া জাগানো ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।
জীবদ্দশায় বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই মহান শিল্পী। ১৯৯৯ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া হয় তাঁকে। তিনটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন এই কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-12/news/312669
http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=260952
http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=260949


Tuesday, December 11, 2012

বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট এইবার চালু করল সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট SOCL!

বৎসর এর শেষ মুহূর্তে বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট নিয়ে আসল আরেকটা চমক !এইবার তারা ফেসবুক  টুঁইটার এবং প্লাস গুগল এর সাথে টক্কর দিতে চালু করল সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট SOCL! 
এই ওয়েবসাইট টি সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের জন্য খুলে দেওয়া  হয় পুরো ওয়ার্ল্ড এ ।
অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের মতো এসওসিএলেও ছবি, ভিডিও রাখা যাবে। আর প্রয়োজনীয় লিংক শেয়ার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
চলতি বছরেই সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকের মতো একটি ওয়েবসাইট চালু করার ঘোষণা দেয় মাইক্রোসফট।
সামাজিক যোগাযোগের সাইট গুলো ব্যবসায়িক দিক দিয়ে লাভজনক ;) ! অতএব এই লাভজনক খ্যাত থেকে ওরা কেন দূরে থাকবে ? তাই মনেহয় মাইক্রোসফট চিন্তা করল ঝাপিয়ে পড়ি যা আছে কপালে :D
আর ব্যাবহার করার মানুষের অভাব আছে ওয়ার্ল্ড এ ? তার উপর মাইক্রোসফট এর মতো একটা প্রতিষ্ঠান !

ইতিমধ্যে যাঁদের ফেসবুক কিংবা মাইক্রোসফটে অ্যাকাউন্ট আছে, তাঁরা সরাসরি সাইটটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। :)
সাইন আপ করার পর এ সাইটে ফেসবুকের মতোই ছবি, ভিডিও, লিংক শেয়ার করা যাবে। মন্তব্য করা যাচ্ছে অন্যের পোস্ট কিংবা স্ট্যাটাসেও। প্রথম পাতায়ও দেখা যাবে সাম্প্রতিকতম সব পোস্ট। ফেসবুকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাইক্রোসফটের এমন উদ্যোগ হলেও সাইটটি জনপ্রিয় করতে অনেক নতুন বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা যোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ফেসবুক এখন যে জায়গায় আছে সেখানে পৌঁছানো সহজ হবে না। তাই দারুণ কিছু সুবিধা, বৈশিষ্ট্য এবং সর্বশেষ প্রযুক্তিসুবিধাযুক্ত কিছু দিতে পারলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। সে পথেই এগোতে চায় মাইক্রোসফট, জানালেন নতুন এসও. সিএলের সঙ্গে যুক্ত মাইক্রোসফটের একজন মুখপাত্র।
*****************************************
এখন আমাদের দেখার পালা সামাজিক যোগাযোগের  দৌড়ে মাইক্রোসফট কতটা সফল হতে পারে ?
পরিশেষ এ SOCL এর সাফল্য কামনা করে এই পোস্ট এর ইতি টানলাম
(সুত্রঃ- prothom-alo.com/ pcworld.com/bbc.co.uk/gmanetwork.com)


ইরানের তৈরি করল নিজস্ব ভিডিও শেয়ারিং সাইট ‘মেহর

গুগলের জনপ্রিয় ভিডিও সাইট ইউটিউবের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ‘মেহর’ নামের একটি ভিডিও সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট তৈরি করেছে ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে গতকাল রবিবার এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইউটিউবে মুসলমানদের জন্য আপত্তিকর ভিডিও না সরানোয় নিজস্ব ভিডিও সাইট চালু করেছে দেশটি।
‘মেহর’ শব্দটির বাংলা অর্থ ‘স্নেহ’ বা ‘আবেগ’। ওয়েবসাইটটিতে ইরানের সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করার ব্যবস্থা থাকছে। এ ভিডিও সাইটটির একটি ফেসবুক পেজও রয়েছে।
সম্প্রতি এক খবরে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে ইরানে কঠোরভাবে ইন্টারনেটের ওপর নজরদারি করা হয়। অনেক বিদেশি ওয়েবসাইট দেশটিতে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে আপত্তিকর মন্তব্য বা বার্তা পোস্ট করার বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হয়।
সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যবস্থা তৈরিতে কাজ করছে। ‘ন্যাশনাল ইন্টারনেট’ চালুর মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে কাজ করছে দেশটি।
ইরানের নতুন ভিডিও সাইটটির ঠিকানা http://www.mehr.ir 
(সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো )