অবশেষে বাংলাদেশ তার অতি প্রয়োজনীয় দ্বিতীয় ইন্টারনেট ব্যাকআপ সংযোগের
সাথে যুক্ত হলো। আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বিতীয় ক্যাবলের বাণিজ্যিক
কার্যক্রম আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে চালু হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ভারত এবং
বাংলাদেশের মাঝে স্থলপথের এই সংযোগ বাংলাদেশের বেনাপোলে দেয়া হয়েছে। আগস্টের
মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশের ওয়ান এশিয়া কমিউনিকেশন (বিডি) লিমিটেডের ক্যাবলের সাথে
ভারতীয় ক্যাবল কোম্পানি টাটা কমিউনিকেশনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ
এর টেলিযোগাযোগ সেবা এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক সাবমেরিন তারের মাধ্যমে
বিশ্বের সাথে সংযুক্ত ছিল। ফলে সি-মি-উই ৪ এ
কোন সমস্যা দেখা দিলেই দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ধ্বস নামত।
এই সমস্যা
সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সাবমেরিন ক্যাবলের পাশাপাশি ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে
আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি
মাসে আইটিসি লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
এ বিষয়
জানতে চাইলে ওয়ান এশিয়া কমিউনিকেশন (বিডি) লিমিটেড নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা
মোহাম্মাদ হেলাল জানান সংযোগটি পরীক্ষা মূলক ভাবে আগামীকাল চালু করা হবে এবং
সেপ্টেম্বরের শেষদিকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আইটিসির
মাধ্যমে ভয়েস, ভিডিও এবং তথ্য সেবা একত্রিত ভাবে প্রদান করা
সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দ্বিতীয়
ক্যাবলটি সর্বোচ্চ প্রতি সেকেন্ডে ১০ গিগাবিট সমর্থন করবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ বলেন,
"কল
সেন্টারগুলোর জন্য দেশের একমাত্র সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যাকআপ অত্যন্ত জরুরী হয়ে
গিয়েছিল"।
এর ফলে
দেশে ব্যান্ডউইথ মূল্যের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে বলেও মনে করেন তিনি।
অনেক
উন্নতি লাভ করবে। বিশেষ করে দেশের কল সেন্টারের জন্য। তিনি আরো
বলেন, এর ফলে দেশের ব্যান্ডইউথের দাম কিছু কমে যাবে।
বিটিআরসি
সম্প্রতি আইসিটি কোম্পানিগুলোকে ভারত, নেপাল, ভুটান ও
মায়ানমারের মত পার্শ্ববর্তী দেশে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করার অনুমোদন প্রদান করেছে
বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা।
এদিকে গত
এপ্রিলে ভারত সরকার বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ত্রিপুরা এবং চেন্নাইয়ের মধ্যে সংযোগ
দেবার জন্য 'ভার্চুয়াল ট্রানজিট' সুবিধা প্রদানের
অনুরোধ জানিয়েছে।
সুত্র : প্রিয় টেক